নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ অ্যান্ড লুইস মেথড (ডিএল) নিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ হলো নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে, তা রীতিমত বিস্ময়কর, ন্যাক্কারজনক। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এবং টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি যে নাটকের পর নাটকের জন্ম দিলেন, তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কেবলই বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং শুরুর খানিক পর বৃষ্টির বাধা। কয়েকবার বৃষ্টির পর নিউজিল্যান্ড খেলেছে ১৭.৫ ওভার। সংগ্রহ করেছেন ৫ উইকেটে ১৭৩ রান।
জবাবে ১৬ ওভার খেলতে হবে বাংলাদেশকে। জিততে হলে এই ১৬ ওভারে করতে হবে ১৪৮ রান। লক্ষ্য হাতে পেয়ে ব্যাট করতে নামে মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন কুমার দাস। কিন্তু ১.৩ বল খেলতেই মাঠে ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের রুমে চলছে তোলপাড়। পরে হিসাব করে তারা জানায় ১৬ ওভারে ১৪৮ নয়, বাংলাদেশকে করতে হবে ১৭০ রান।
আর এমন কান্ড দেখে অবাকই টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমার মন হয় আমি কখনো এমন কোনো ম্যাচ দেখিনি। কেউ জানতাম না লক্ষ্য কত, ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেব কীভাবে হচ্ছে। পাঁচ ওভার পর কত রান রাখা চাই- কেউই জানত না। আগে কখনোই এমন ম্যাচ দেখিনি। ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে অথচ কেউ জানেই না কত রান করতে হবে! ”
“ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেবনিকেশ শেষ করার পর ম্যাচ শুরু করা উচিৎ ছিল। কত ওভারে আমাদের কত রান করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে খেলা শুরু করা উচিৎ ছিল। এমনটি দেখা মোটেও সুখকর নয়।”– যোগ করেন তিনি।
ডমিঙ্গো আরও বলেন, “তারা (ব্যাটসম্যানরা) স্কোরের জন্য অপেক্ষা করছিল। এক দুই বল অপেক্ষা করার পরও কিছু জানতে পারছিল না। তখনো অপেক্ষা করছিল। আমাদের জন্য এটা অনেক হতাশাজনক। তারা নাকি স্কোর প্রিন্ট আউটের অপেক্ষা করছিল। এভাবে তো খেলায় দেরি করা যায় না।”
Share this:
Like this:
Loading…
[url=http://viagradio.com/]sildenafil rx[/url] [url=http://toapills.com/]amoxicillin tablets cost[/url]