চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি ৫টি বাক্যে উত্তর লিখ
একাধিক ব্যক্তি মিলে নিজেদের প্রিয় সংগঠন একত্রিত করে যখন নতুন কোন ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তুলে তখন তাকেই অংশীদারি ব্যবসা বলে অভিহিত করা হয়।
আমাদের দেশে অনেক যেমন ব্যবসায় সংগঠন আছে যারা অনেকে মিলে একসাথে শুরু করেছে এবং তা সমৃদ্ধি পথ দেখেছে।
অংশীদারি ব্যবসায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও অনেকগুলো সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।
কয়েকজন মিলে অল্প অল্প করে পুঁজি দিয়ে অনেক বড় অঙ্কের টাকা জমিয়ে একটি বড় ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় অংশীদারি ব্যবসায় এর মাধ্যমে।
অংশীদারি ব্যবসার অন্যতম একটি মূল ভিত্তি হলো চুক্তি। ব্যবসায়ী পার্টনার দের সাথে কাজ করার জন্য ভবিষ্যৎ জটিলতা নিরসন কল্পে অবশ্যই অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তি বদ্ধ হতে হয়।
আজকে আমরা আলোচনা করব চুক্তি অংশীদারি ব্যবসার মূল ভিত্তি এই বিষয়টি নিয়ে।
অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র:
দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হয়। অংশীদারী ব্যবসায় চুক্তি মৌখিক বা লিখিত দুই ধরনের হতে পারে।
লিখিত চুক্তি আবার নিবন্ধিত হতে পারে। লিখিত বা মৌখিক যাইহোক অংশীদারি ব্যবসার শুরু হয় চুক্তির মাধ্যমে।
১. ব্যবসায় শুরুতেই চুক্তিবদ্ধ হলে ভবিষ্যতে অংশীদারি ব্যবসায়ের জটিলতার সমাধান করা সহজ।
২. চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় অংশীদারদের কর্মবন্টন করা যায়।
৩. সঠিক যুক্তি প্রণয়নের মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় অংশীদারদের লাভ-লোকসান নির্ধারণ করা যায়।
৪. চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারদের দায়িত্ব ক্ষমতাও অধিকার বর্ণনা করা হয়।
৫. চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসার প্রকৃত উদ্দেশ্য অফ দা ইত্যাদি নির্ধারণ করা যায়
৬. সঠিকভাবে চুক্তি প্রণয়নের মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায়ের প্রত্যেক অংশীদারের প্রদত্ত মূলধনের পরিমাণ ও পরিশোধ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
৭. ব্যবসা পরিচালনার সঠিক নিয়মাবলী অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায়।
৮. সঠিক যুক্তি প্রণয়নের মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় প্রত্যক্ষভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারিকে নির্ধারণ করা যায়।
৯. অংশীদারি ব্যবসায় সঠিক এবং লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে অংশীদারদের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসা করন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়।