শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা বা সমকক্ষ মনে করা।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কিছুকে অংশীদার করা বা সাব্যস্ত করা কি শিরক বলে।
শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক একটি অত্যন্ত জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম” (সূরা লোকমান, আয়াত-১৩)
১. আল্লাহর সাথে অন্যায়:
শিরক-কারী আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
সে আল্লাহর সাথে অন্যান্য সমকক্ষ তৈরি করে। তাই শিরক আল্লাহ তা’আলার সাথে এক রকম অন্যায় করা।
২. মর্যাদাহানি:
শিরক মানুষের জন্য মর্যাদাহানিকর একটি কাজ।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত অথচ শিরক-কারী রাজার সৃষ্টির কাছে নিজেদের মাথা নত করে যাতে তাদের মর্যাদাহানি হয়।
৩. ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ:
মহান আল্লাহ তায়ালা শিরকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করেন না। শিরকের পরিণত দ্বন্দ্ব ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন –
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না।
তা ব্যতীত অন্য যে কোন পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন” (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৬)